বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় একবার নয় দুইবার নয় তিন তিনবার স্ত্রীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ভয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মচারী।
শুধু স্ত্রী নয় তিন মেয়ে ছেলে ও স্ত্রীর ভাইরা মিলেও একাধিকবার তাকে নির্যাতন করেছেন বলে ভুক্তভোগী সাত্তার খান জানান।
পেনশনের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তার স্ত্রী, সন্তান ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
জানা গেছে, ১৯৮৭ সনের ৩০ মে উপজেলার হেতালবুনিয়া গ্রামের ইলিয়াস খানের মেয়ে শাহনাজ পারভীনের সাথে বিয়ে হয় আমুয়া গ্রামের মৃত জেন্নাত খানের ছেলে ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আবদুস সাত্তার খানের।
বিয়ের পর তাদের সংসারে তিন মেয়ে সানিয়া, রাদিয়া, লামিয়া ও ছেলে সফিকুল ইসলাম সাব্বির খানের জন্ম হয়।
তিন মেয়েই বিবাহিত। ছেলে সাব্বির খান বরগুনা পলিটেকনিক্যাল কলেজে পড়াশুনা করে।
সাত্তার খান ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি শেষে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে উপজেলার চেচরী রামপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে অবসরে যান।
অবসরের যাবার পর সাত্তার খান আমুয়া অগ্রণী ব্যাংকে তার মেজ মেয়ে রাদিয়া বেগমের অ্যাকাউন্টে রাখার জন্য দুই বারে তিন লাখ ৪৩ হাজার টাকা স্ত্রীর নিকট দেন।
স্ত্রী শাহনাজ পারভীন ওই টাকা অ্যাকাউন্টে জমা না রেখে তা দিয়ে তিনি নিজের জন্য দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার কেনেন।
এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে গত বছরের ১৭ নভেম্বর ঘরের দরজায় লাগিয়ে স্ত্রী-সন্তান ও স্ত্রীর ভাইরা মিলে সাত্তার খানের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।
অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায় তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে এক মাসের মধ্যে আরো দুইবার নির্যাতনের শিকার হন তিনি বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ ঘটনায় সাত্তার খান বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেও কোনো ফল পাননি।
বরং থানায় অভিযোগ করায় স্ত্রী-সন্তান ও স্বশুর বাড়ির লোকজন এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়।
প্রাণের ভয়ে সাত্তার খান এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তার স্ত্রী জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছি।
এখনও তিনি নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ জন্যও ছেলে-মেয়ে ও বাবার বাড়ির লোকজন মাঝে মধ্যে প্রতিবাদ করে। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। -কালের কণ্ঠ
Leave a Reply